পথচলতি গাছগাছড়ায় রোগ সারান
֍কনজাংটিভাইটিস সারাতে দু বেলা কাঠফুলের রস চোখে লাগান। মৌরি পাতা মধু দিয়ে ফুটিয়ে জলটা চোখে সেঁক দিন। ৫০গ্রাম তেঁতুলপাতার পুঁটলি চোখে বোলান। কাপড়ের টুকরোকে কাঁচা হলুদের রসে ছুপিয়ে সর্বদা চোখ মুছলে চোখের রক্তবর্ণতা দূর হবে। চোখ ভালো রাখতে মাঝেমাঝে খান হিংচে শাক। পেঁয়াজ মিশিয়ে হিংচে শাকের স্যুপ খান।
֍অনিদ্রায় শুষনি শাকের রস খান। বেগুন পোড়ায় মধু দিয়ে চেটে খান। পিপারমিন্ট টি খান। রাতে হাল্কা খান। ৭–৯টার মধ্যে ১ চামচ চন্দন বাটা একটু জল (রোগা হলে দুধ) দিয়ে খান। ধুমপান, বেশী বা রোজ মদ্যপান বাদ দিন। ব্যায়াম করুন। লাউ এর সঙ্গে তিল তেল মিশিয়ে রোজ মাথার তালুতে ঘষুন। পাকা সাদা কলার সাথে ১ চা চামচ জিরেগুঁড়ো দিয়ে খান।
֍বাত বেদনায় তিলতেল,গাঁদাল পাতা, ধুতরো পাতার রস কাঠের আঁচে ফুটিয়ে ম্যসাজ করে ধুতরোপাতার সেঁক দিন।
֍ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে কম করে ১ মাস ২চামচ চিনি/মধু দিয়ে গুলঞ্চের রস খান। ঘৃতকুমারীর ১ চামচ রস, গোলমরিচগুঁড়ো খেলে ম্যালেরিয়া, বিষম জ্বর সারে।জ্বীর্ণ জ্বরে ১চামচ ঘৃতকুমারির রস, ২গ্রাম হরিতকিগুঁড়ো ২বেলা খান।
֍হিংচে শাক,চন্দন বাটার প্রলেপ বারবার লাগান। আঁচিল ভালো হয়ে যাবে ।
֍বেশী/গুরুপাক খেলে কম করে ৩০ মিনিট ধরে ১ গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খান। ঝাল লাগলে কাঁচা দুধ খান।
֍বোলতা হুল ফোঁটালে সঙ্গে সঙ্গে তুলসীপাতার রস লাগান। বরফ দিয়ে তারপর লাগান ক্যালামাইন লোসন। বেকিং বেকিংসোডা জল দিয়ে পেস্ট করে লাগান ।বোলতা বা বিছে কামড়ালে ক্ষতস্থানের ওপর পেঁয়াজের রস লাগালে জ্বালা কমে যাবে। বিছে কামড়ালে হলুদ বাটার প্রলেপ দিন।
֍কাঁকড়াবিছে কামড়ালে সেখানটা চিরে অল্প জলে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট গুলে ধুয়ে তুলোয় করে অ্যান্টিসেপটিক দিন। নুন,লেবুর রস দিতে পারেন। হুল থেকে গেলে তেঁতুলের ঘন জল দিন।
֍অজানা পোকা কামড়ালে সাবানে ধুয়ে তারপর লাগান ক্যালামাইন লোসন। ভেজা সাবান/২চামচ অলিভ অয়েল,ডিমের সাদা অংশ দিতে পারেন।
֍জোঁকের মুখে নুন বা তামাকপাতার গুঁড়ো দিন।
֍মৌমাছি কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের রস লাগান। হুল বের করুন সন্না দিয়ে। সার্জিকাল স্পিরিট দিন।
֍ পিঁপড়ে ইত্যাদি কামড়ালে স্পিরিট জাতীয় কিছু বা সেন্ট বা কর্পূর বা বরফ বা ঠান্ডা জল লাগালে জ্বালা কমবে। পিঁপড়ে কামড়ালে গরম জলে নুন দিয়ে কয়েকবার লাগান।
দাঁত মাজার পর পেয়ারা সেদ্ধ করা জলে কুলি করলে পাইওরিয়া হবেনা ৷
֍মুখের দুর্গন্ধে কালোজিরে চিবোন/নুনে সরষের তেল দিয়ে দাঁত মাজুন।
֍তেঁতুল,কুল খেয়ে দাঁত টকে গেলে নুন দিয়ে দাঁত মাজুন। নুন জলে কুলি করাও ভালো। খাবার সোডা দিয়ে মাসে একবার দাঁত মাজলে দাঁতের কালো ছাপ দূর হবে।
֍দাঁত মজবুত করতে নিম দাঁতনে দাঁত মাজুন/ লেবুর রস নিংড়ে নিয়ে পড়ে থাকা চোকলাগুলোকে শুকিয়ে,পুড়িয়ে গুঁড়োটা ঘষুন।
֍আখ চিবোলে দাঁত হয় পরিচ্ছন্ন। পাতিলেবু ঘষলে দাঁত হয় ঝকঝকে।
֍দাঁতের যন্ত্রনা হলে নুন লাগান। লবঙ্গ থেঁতলে/গুঁড়ো করেও লাগাতে পারেন। লবঙ্গ শুধু মুখে রাখলেও হবে। চা পাতা ফোটানো জলে/কচি পেয়ারা পাতা ফোটানো জলে কুলি করতে পারেন।
֍রামতুলসীর ক্বাথ ধ্বজভঙ্গে উপকারী। বাবুই তুলসীর বীজের রস গনোরিয়ায় হিতকর। বাবুই তুলসীর বীজ ফলের সাথে খেলে প্রসবান্তে বেদনার আরাম ঘটে।
֍ব্রাশ করার পর আঙুলও ব্যবহার করুন। দিনে একটা সময় মিষ্টি খান। খেয়ে জল খান। চকোলেট খেয়ে কুলি করুন। আইসক্রিম ইত্যাদি এড়িয়ে যান। ঘুম পেলে ঘুমাতেযান। দেহ যতক্ষণ চায়,ঘুমান।
֍শিশু, বৃদ্ধ, বাত, নিউমোনিয়ার রোগীদের এয়ারকুলারের হাওয়া খাওয়া ভালো নয়। এয়ারকুলারকে মাথা, পায়ের কাছে রাখবেননা।
֍দেহের কোনও অংশে গরম জল, তেল, ফ্যান পড়লে ঘন করে ময়দা/আটা গুলে যত শীঘ্র সম্ভব লাগান। জ্বালা কমবে। ফোস্কা পড়বেনা। গরম জল জাতীয় কিছু পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুরু করে নুন চাপা দিয়ে কম করে ১ ঘন্টা রাখলে ফোস্কা, জ্বালা হবেনা। আলু বাটা লাগালেও ফোস্কা,জ্বালা হয়না । পুড়ে গেলে ডিমের সাদা অংশ লাগালে ফোস্কা পড়েনা। নারকেলের ভিতরের অংশ কালো হয়ে গেলে নারকেলটাকে কুরিয়ে জাল দিয়ে তেল বের করে ছেঁকে দেহের পোড়া জায়গায় লাগাবেন।
֍বাতের ব্যথা, শূল ব্যথাতে আলু পাতা বাটা লাগান ।
֍লাউ পাতার রস জন্ডিসের প্রতিরোধক৷