
BANGLA-ROCHONA
প্রবন্ধ রচনা শিক্ষা-Bangla Rochona Our well-curated collections of বাংলা রচনা-প্রবন্ধ Bangla Rochona will help you to prepare for any examinations.
বাংলা রচনা-প্রবন্ধ | A list of Bangla Rochona is provided you can click on the desired বাংলা রচনা-প্রবন্ধ | Bangla Rochona and prepare for examinations
বাংলা রচনা-প্রবন্ধ | Bangla Rochona
ভূমিকা
রচনা লেখার আগে জানা দরকার–রচনা বলতে কি বুঝায়? রচনা শব্দের ইংরাজী প্রতিশব্দ Essay বা প্রবন্ধ। ব্যাক্তিগত ধ্যান–ধারণা, জ্ঞান, পাণ্ডিত্য সমন্বিত যুক্তিজাল ও তথ্য সমৃদ্ধ লিখনকেই রচনা বলা যায়। রচনার আর এক নাম ‘প্রবন্ধ‘ কথার অর্থ প্রকৃষ্টরূপে বন্ধন। এই বন্ধন কার বা কিসের কোন বক্তব্য বিষয়কে যখন উপযুক্ত তথ্য–জ্ঞান ও তত্ত্ব সংযুক্ত করে সুচারুরূপে ভাষার বন্ধনে আবদ্ধ করা হয় তাকেই বলে প্রবন্ধ ।
এখন এই প্রবন্ধ বা রচনা কেমনভাবে লিখতে হবে? একই ভাষাভাষী মানুষের কথা বলা ও লেখার মধ্যে এক ধরনের সামঞ্জস্য আছে। কথা বলার ক্ষেত্রে যেমন আমরা দেখি, অপরের বোঝার মত অর্থাৎ শ্রুতিযোগ্য, জোরে, জড়তাহীন, পরিষ্কার ভাবে এবং বোঝার মত ধীরে ধীরে বললেই মানুষের কথা বোঝা যায় । লেখার বেলায়ও ঠিক তাই। নিজের ভাব ধারাকে অপরের ভাবধারার সাথে মিলিয়ে দেবার জন্য শুদ্ধ আড়ম্বরহীন ভাষা প্রয়োগ করলে সেই সাথে পরিচ্ছন্ন অক্ষরে লেখা হলে তা অপরের পাঠযোগ্য ও বোধযোগ্য হয়। প্রবন্ধ লেখার আগে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা দরকার।
প্রবন্ধ বা রচনা লেখবার আগে লেখক আলোচ্য বিষয়টির সম্বন্ধে চিন্তা করবেন । তারপর চিন্তিত ভাবধারাগুলিকে ক্রম পরম্পরায় পরিকল্পনামত সাজিয়ে নিয়ে লিখতে হবে। তাহলেই বিষয়টির সম্পর্কে একটা পরিষ্কার স্বচ্ছ ধারণা তৈরী করা যাবে। যদি প্রশ্নপত্রে প্রবন্ধ রচনার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি সূত্রে ‘point’ হিসাবে দেওয়া থাকে, তা হলে সেই সূত্রে অনুযায়ী প্রবন্ধ রচনা করার বাধ্যবাধকতা আছে। এই প্রকার সূত্র দেওয়ার ভাল মন্দ দুই দিকই আছে। ভালর দিক হল বিষয়বস্তুর ব্যাপারে চিন্তা করার মস্ত সবিধা হয় তাতে। কোন দিকের চিন্তা প্রথমে করতে হবে– কার পর কার বিষয় আলোচনা করতে হবে, সে বিষয় একটা নির্দেশনামা বা guide line এর দ্বারা পাওয়া যায় ও প্রবন্ধ রচনা করা সহজ সাধ্য হয়। নির্দিষ্ট সূত্রগুলির বিষয়ে নিজের জ্ঞান– মত তথ্য সরবরাহ করা, ক্রমানুসারে সূত্রেগুলি বিস্তারের দ্বারা বর্ণনীয় বিষয় সম্পর্কে একটা সম্পর্ণে ধারণা লেখার মধ্যে তৈরী করা যায়। আর মন্দ দিকটি হোল নির্দেশিত সূত্র মত রচনা লিখতে গিয়ে বিষয়টির সম্পর্কে নিজের স্বাধীন চিন্তা ও মতামত ব্যক্ত করার দিক বাধাপ্রাপ্ত হয়। রচনা যেখানে ব্যক্তিগত ধারণা, জ্ঞান প্রকাশের মধ্যে লক্ষ্য; সেখানে পর্ব থেকে বাঁধা ছকে ব্যক্তি–চিন্তাকে নিয়ন্ত্রিত করতে গেলে রচনা–মধ্যে ব্যক্তিগত চিন্তা–প্রসতে বিষয়কে উপস্হাপিত করা যায় না । এক কথায় প্রবন্ধ লেখককে নির্দিষ্ট চিণটা ও ভাবনায় আবদ্ধ থাকতে হয় । তার ফলে রচনার ব্যক্তিগত ধ্যান ও জ্ঞান প্রকাশ করা কখনই যায় না ।
প্রবন্ধের আকার কত বড় হবে সে বিষয়ে কোন নির্দেশ দেওয়া চলে না। বিষয়বস্তু অনুযায়ী রচনার কলেবর ছোট বড় হয়ে থাকে । রচনার দৈর্ঘ্যের উপর কোন সাফল্য নির্ভর করে না। লেখকের বক্তব্য মূল্যবান, সারবান করতে কখনই বাঁধাছকে সম্ভব হয় না । ভাষার পারিপাট্যের উপর প্রবন্ধ রচনার সাফল্য নির্ভর করে । তবে অন্যান্য প্রশ্ন লেখার সঙ্গে বা পরে রচনা লিখতে গেলে ছাত্র–ছাত্রীদের হাতে সময় বেশি থাকে না। তাই তাড়াতাড়ি করে কোনরকমে দায়সারা গোছের রচনা লেখা হয় । অনেক সময় প্রবন্ধ রচনা করার জন্য মাত্র আধঘণ্টা বা তার চেয়েও কম সময় পাওয়া যায়। তাতে অর্থাৎ ওই সময়টুকুর মধ্যে বেশি বড় কোরে লেখার ব্যবস্হা করা কখনই সম্ভব নয় ।
রচনা লেখার মধ্যে যে আঙ্গিক বা কাঠামো, যে টেকনিক অবলম্বন করা হয় তা একান্ত ব্যক্তিগত। নিজের বলার ও লেখার ভঙ্গি ভাষার মধ্যে ধরে দেওয়া হয় । তাই রচনাকে বলা হয় personal essay বা ‘ব্যক্তিগত রচনা‘। কথা বলার ভঙ্গি যেমন সবার সমান নয়—লেখার বেলাও ঠিক তাই । রচনা লেখার মধ্যে ছাত্র–ছাত্রীর জ্ঞান ও ভাষার প্রতি দখল পরীক্ষা করা যায়। ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির যেমন পার্থক্য আছে ঠিক তেমনি একের লেখার ভঙ্গির মধ্যে অন্যের লেখার ভঙ্গির মধ্যেও সেই একইরূপে পার্থক্য বিদ্যমান। বিভিন্ন রচনা পাঠের মধ্যে দিয়ে ছাত্র–ছাত্রীদের এক এক জনের ভঙ্গি তৈরী হয়ে যায়। আর সেই ভঙ্গিগুলি আয়ত্ত করার জন্যই বারবার তা লেখার অভ্যাস করা চাই। বার বার লেখার মধ্যে একটা মান বা standard আপনা থেকেই তৈরী হয়। তাই রচনা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রচনা লেখার অভ্যাসও করতে হবে। রচনা লেখার সময় আরও কয়েকটি দিক সম্পর্কে ছাত্র– ছাত্রীদের অবহিত হতে হবে ।
Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana
রচনা লেখার আবশ্যিক দিক
ভাব ও ভাষার সার্থক মিলনেই রচনা জন্মলাভ করে। বিজ্ঞেরা বলেন ভাষা ছাড়া ভাবা যায় না, আর ভাব নইলে ভাষাও বের হয় না। কাজেই ভাব ও ভাষার একাত্ম মিলন, ভাব ও ভাষার সুসংগতির নাম রচনা ।
রচনার প্রথম দিকের কাজ হলো—বিষয় ভাবনা। বিষয় ভাবনারও কয়েকটি দিক আছে ।
(১) বিষয়–নির্ণয়ঃ প্রসঙ্গটি কি তা ঠিক, ঠিক ভাবে বুঝে নিতে হবে।
(২) ভাবনাঃ নির্ণেয় বিষয়টি সম্বন্ধে লেখকের নিজের জ্ঞান, বোধ, অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি কি—তা বুঝে নিতে হবে। অর্থাৎ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ভাবনা শুরু করলে, ভাবনা যথার্থ নিজস্ব হবে ।
(৩) এই জ্ঞান বা উপলব্ধি বিষেশ্রণঃ মনে মনে স্থির করা দরকার, নিজের কোন, কোন, ভাবটি বিষয়ের সাথে জড়িত। কিংবা, জটিল আলোচনা মূলক বিষয় হলে বিশ্লেষণ করা–স্বপক্ষে ও বিপক্ষে কী কী যুক্তি আছে । এই কাজে প্রথমে points করে সংকেত বা সূত্রের আকারে এক–একটি ভাব ও যুক্তি কাগজে টুকে নেওয়াই (বহু ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রে এই কাজটি করে দেওয়া থাকে ) উচিত ।
(৪) তারপরেই ভাবের ক্রম নির্ণয়ঃ পয়েন্টগুলি সাজানো (বহু ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রে করে দেওয়া থাকে)। এরপর বুঝে নিতে হবে ভুমিকা কি হবে ৷ তারপর কোন ভাবের পর কোন ভাব, কোন যুক্তির পর কোন যাক্তি আসে তা দেখতে হবে । সবশেষে আসবে উপসংহার ।
(৫) পঞ্চম কাজটি হল ভাব বিকাশঃ সূত্রাকারে যে ভাব যুক্তিসমূহ স্থির করা হয়েছে, তা বিস্তারিত আকারে ভাবা । অর্থাৎ লেখকের কি জানা আছে তা চিন্তা করা। ভাবের ক্রম ভঙ্গ না হয়, ভাব যেন সম্পূর্ণ ও সুশৃংখলা হয় ৷ সব ভাবনা যেন একটা পরিণতির দিকে অগ্রসর হয়। ভাবের বিস্তার করতে গিয়ে যেন অপ্রাসঙ্গিক ভাব এসে যায় তাও দেখতে হবে। কিংবা তুচ্ছ কথা প্রাধান্য যেন না পায়। শেষে উপসংহার অংশে বিষয়টিকে সুসংহত আকারে সমগ্রভাবে দেখতে হয়—তাতে বিচারের নিষ্পত্তি হয়ে যায়, ভাবনার পরিসমাপ্তি বোধ জাগে ।
ভাষা
ভাবনার পর্ব শেষ হলে পরে আসে ভাষা । কারণ শুদ্ধ বোধযোগ্য ভাষা, রচনার দেহ–কাটামো । অবশ্য ভাবনার সাথে ভাষা ওতপ্রোতপাবে জড়িত, কাজেই ভাষা লেখা প্রথমে প্রয়োজন । শুদ্ধ মানে ব্যাকরণগত শদ্ধ । এর সাথে যুক্ত শুদ্ধ বানান। রচনার ভাব যতই উন্নত স্তরের হোক না কেন—বানান ভুলের জন্য তার সব সৌন্দর্য ও মূল্য নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বাক্য গঠন প্রক্রিয়ার ভুল । অর্থহীন শব্দ সমষ্টি কখনই বাক্যরূপে পেতে পারে না। ভুল না হলেও তা অমার্জনীয় হয়ে দাঁড়ায়। আবার ভাষা রীতির অর্থাৎ সাধু ও চলিত রীতির যে কোন একটিকে বেছে নিতে হবে। এদের একত্র ব্যবহার ‘শবপোড়া‘ ‘মড়াদাহের‘ মত গুরুচণ্ডালী দোষে দুষ্ট হবে।
কি রচনা কোন, ভাষা রীতিতে লেখা উচিত এ বিষয়ে ধরা বাঁধা কোন নিয়মে বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। সার্থক শিল্পী যে কোন রচনা যে কোন ভাষা রীতিতেই প্রকাশ করতে সক্ষম হন। তবে সাধারণভাবে একটা কথা বলা যায় হালকা সুরে, হালকা কথা চলিত ভাষায় সহজ এবং গভীর সুরে বলতে চাইলে সাধু ভাষাতেই বেশি সহজে তা বলা যায়। সাধু ভাষা গম্ভীর গামী ; সরলতা ও গাম্ভীর্য গুণের তা অনকুল। চলতি ভাষায় লঘুগতি — অন্তরঙ্গতা সহজলভ্য; চলতি ভাষা তাই অন্তরঙ্গ আলাপের মাধুর্যগুণের অনকুল। তাই বলা যায় ; দু‘ভাষাতেই প্রবন্ধ লেখা যায়, একথা সত্য ; কিন্তু ভ্রমণ কাহিনী, আত্মকাহিনী প্রভৃতি রচনায় চলতি ভাষাই প্রশস্ত ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে রচনা শিক্ষাকালে শিক্ষার্থী ভাষার কোন রূপ গ্রহণ করবে— সাধ রূপ না চলতি রূপ ? এ বিষয়ে একটা কথা পরিষ্কার—ভাষার সাধু রূপ ও চলতি রূপ—দুটোই শিক্ষা সাপেক্ষ।
শিক্ষার্থী কিছু দিন পূর্ব পর্যন্ত পাঠের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও পুস্তক পুস্তিকার মধ্যে সাধু ভাষার ব্যবহারই বেশী পেত । তাই সাধু ভাষার ব্যবহার শিক্ষাটা অনায়াসেই হয়ে যেত ৷ সাধু ভাষার সর্বনাম ও ক্রিয়ার বিস্তৃত রূপ লেখার দিক দিয়ে সময় সাপেক্ষ। কিন্তু চলিত ভাষার ক্ষেত্রে সর্বনাম ও ক্রিয়ার রূপ সংক্ষিপ্ত হওয়ায় দ্রুত লেখার সুবিধে মেলে। আমরা যে ভাষায় অর্থাৎ ভাষার যে রূপে কথা বলি তার নাম চলিত ভাষা। যাকে কিছুদিন আগে পর্যন্ত “মঃখের এঁটো ভাষা” বলা হত ; আর এঁটো ভাষা বলে তাতে সাহিত্য রচনা প্রশংসিত হত না—কিন্তু বর্তমানে সে চিন্তাধারা বদলেছে। মখের কওয়া ভাষাতেই সাহিত্য শব্দ রচিতই হচ্ছে না—এই প্রকার রীতির সাহিত্য লিখিয়েরা ‘কথা সাহিত্যিক” নামে প্রশংসিত হচ্ছেন ।
ভাষার কথিত রূপ ও লিখিত রূপে এক হওয়ায় লেখার সুবিধা হয়—বোঝার দিক থেকেও জড়তা অনেক কমে । আগের চেয়ে অনেক বেশী করে সাহিত্য চলিত ভাষাতেই লেখা হচ্ছে। তাই দৃষ্টান্ত পেতে অসবিধা আর নেই। শিক্ষার্থীরা এই সব রীতির রচনা পড়ে সহজেই ভাষার চলিত রূপ ব্যবহার করতে শিখবে । কথায় ও লেখায় ভিন্ন ভিন্ন ভাষারূপে ব্যবহার না করে এক পদ্ধতি অর্থাৎ চলিত রূপ ব্যবহার করলে ভাল হয়। শিক্ষার্থী রচনা লেখার পূর্বে ঠিক করে নেবে কোন রীতিতে সে রচনা লিখবে । বার বার অভ্যাসের দ্বারা এই রীতি আয়ত্ব হয়ে যায় ৷ তখন আর সাধু চলিত মিশ্রণ হয় না ৷
যে কোন রচনার সার্থকতার জন্য একটি জিনিষের প্রয়োজন—তা হল ভাষার স্বচ্ছতা। ভাষার স্বচ্ছতাই রচনাকে সার্থক ও সন্দর করে গড়ে তোলে।
Here we have given detailed examples of Bangla Rachana | You have to self practice a lot to master the skill.
Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana
নমুনা রচনা
নির্বাচিত প্রবন্ধ গুলি পড়তে নিচে ক্লিক করুন
প্রবন্ধ সংকেত–
[ পরীক্ষা গৃহ, ভারতের জাতীয় পতাকা, ঈদ উৎসব, অস্পৃশ্যতা, ভারত পথিক রামমোহন ]
Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana-Bangla Rachana-Bengali Rochona-Bengali Rachana