মুখ শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কীভাবে সুন্দর রাখবেন?
Face Care
➸ ধুলো ময়লা ও মেক–আপ–এর ফলে লোমকূপ বুজে যায়। ফলে, দিনে দু‘বার একবার সকালে (কার্যসূত্রে যদি আপনাকে মেক–আপ করতে হয়) আর একবার রাতে, শুতে যাওয়ার আগে ত্বকের ক্লেনজিং, টোনিং আর ময়েশ্চারাইজিং অত্যন্ত জরুরি।
➸ ক্লেনজিংয়ের সময় প্রথমে উষ্ণ জলে ত্বক ধুয়ে নিন। এতে বুজে যাওয়া ছিদ্র খুলে যায়। এবার আপনার ত্বক অনুযায়ী ক্লেনজার লাগিয়ে মাসাজ করুন। তারপর ভেজা তুলো বা উষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
➸ ‘কড়া নয়, সবসময় হালকা ক্লেনজার ব্যবহার করবেন।
➸ ক্লেনজিংয়ের সময় ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ লেভেল বদলে যায় যা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে টোনার।
➸ এছাড়া ক্লেনজিংয়ের ফলে যে–সমস্ত ছিদ্র খুলে যায়, সেগুলো টোনার বন্ধ করে।
➸ ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে ত্বক অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় না। অনেকের ধারণা, তৈলাক্ত ত্বক হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এটা ভুল
➸ সপ্তাহে ১–২ দিন এক্সফোলিয়েশন ট্রিটমেন্ট করুন। এতে মৃত কোষ সরে গিয়ে। ত্বক মোলায়েম, নরম, উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
➸ পিএইচ নিউট্রাল এক্সফোলিয়েটিং প্রডাক্ট ব্যবহার করুন।
➸ কখনও ভুলেও ব্রণ খুঁটবেন না।
➸ বারে বারে মুখে হাত দেওয়া খুব খারাপ অভ্যাস। এড়িয়ে চলুন
➸ খুব বেশি কসমেটিক্স ব্যবহার করবেন না।
➸ নিজের ত্বক অনুযায়ী কসমেটিক্স লাগান এবং তা অবশ্যই যেন নামী কোম্পানির হয়
➸ ঘুমোনোর আগে মেক–আপ তুলন
➸ তৈলাক্ত ত্বকে অ্যাকনে, ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডস, ডার্ক স্পটসের সমস্যা প্রায়শই দেখা যায়। এড়াতে বেশি তেলের খাবার, বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
➸ দিনে বেশ কয়েকবার মুখ পরিষ্কার করুন। এতে বাড়তি তেল বেরিয়ে যায়, অয়েল জোন–এ ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা কমে
➸ ত্বক শুষ্ক হলে গরমজলে স্নান করবেন না।
➸ স্নানের পর ময়েশ্চারাইজার লাগান এবং নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে গায়ের জল মুছুন.
➸ ৮–১০ গ্লাস জল খান। শরীরের টক্সিন দূর হয়ে যায়। হয়, ত্বক হাইড্রেটেড থাকে।
➸ লেটুস, শসা, গাজর যা সহজে হজম হয়, প্রচুর পরিমাণে জল আছে, এমন সবজি খান। স্যালাড বানিয়ে খেলে অলিভ অয়েল আর লেবুর রসের ড্রেসিং ব্যবহার করুন।
➸ ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে বীজ আর বাদাম রাখুন। এতে ওমেগা–থ্রি এস, হেলদি ফ্যাট, ফাইবার রয়েছে। আমন্ড, সূর্যমুখীফুলের বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড, ওটমিল খুব কার্যকরী।
➸ ভিটামিন সি ত্বকের জন্য উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, ভাল ব্লিচিং এজেন্ট। ত্বকের রং হালকা হয়, দাগছোপ, ক্ষতচিহ্ন হালকা হয়, হাইপার পিগমেন্টেশন, রোদে পোড়াভাব কমে। সকালে খালিপেটে ১ কাপ জলে ১ চা–চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খান।
➸ ভিটামিন সি–যুক্ত সাইট্রাস ফল দিয়ে স্ক্রাব বা ফেশ প্যাক তৈরি করে সঙ্গেসঙ্গে ব্যবহার করুন। ফেলে রাখলে এর গুণ নষ্ট
➸ সংবেদনশীল ত্বকে ভিটামিন সি সরাসরি। ব্যবহার করবেন না। অল্প মধু, গোলাপজল বা ঠান্ডা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
অ্যান্টি–এজিং
দু‘রকম ট্রিটমেন্টে বয়সের ছাপ আটকানো যায়—
(ক) ট্রিটমেন্ট যা দেরিতে চেহারায় বুড়োটেভাব আনে।
(খ) ট্রিটমেন্ট যা চেহারায় নেমে আসা বুড়োটেভাব দূর করে।
(ক) ট্রিটমেন্ট যা দেরিতে চেহারায় বুড়োটেভাব আনে
ফেশিয়াল
পাওয়ার রেটিনল ফেশিয়াল: এটি অ্যান্টি–এজিং ফেশিয়াল। রেটিনলে বয়সের ছাপ কমায়। ত্বক নরম হয়। সূর্যের ইউভি রশ্মি, ধুলো–দূষণের ফলে ত্বকে যে কালচে ছাপ পড়ে, বুড়োটেভাব আসে তা দূর হয়। বলিরেখা, ডার্ক স্পট কমায়। বহিশ্চর্ম বা এপিডার্মাল লেয়ারে পুষ্টি জোগায়
পাওয়ার সি ফেশিয়াল: অন্যান্য ভিটামিন সি ফেশিয়ালের তুলনায় এই ফেশিয়াল ত্বকের গভীরে ঢোকে, বেশি করে শোষিত হয়। ভিটামিন সি খুব ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এছাড়া বয়সের ছাপ কমায়, ত্বকে সূর্যের ইউভি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব কমায়। কোষের মেটাবলিজমের হার বাড়ানোর ফলে কোলাজেন তৈরি বৃদ্ধি পায়। কাজেই ত্বক টান টান হয়, তরতাজা কমবয়সি দেখায়। এই ফেশিয়াল মেলানিন তৈরির হার কমায়, কাজেই রোদে পুড়ে ত্বকে কালচে ছোপ পড়লে তা ফিকে হয়ে যায়।
ক্লিয়ার ব্যালান্স ফেশিয়াল: তৈলাক্ত ত্বকে বেশি নোংরা জমে, লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। তখনই ব্ল্যাক হেডস, ব্রণ বেরোয়। এই ফেশিয়াল ত্বকের নোংরা পরিষ্কার করে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। অতিরিক্ত সিবাম তৈরির হার নিয়ন্ত্রণ করে। এরমধ্যে অ্যান্টিসেপ্টিক প্রডাক্ট থাকার কারণে ত্বকের ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া বিনষ্ট করে। এই ফেশিয়াল নন পমিডোজেনিক অর্থাৎ, লোমকূপ বন্ধ করে না। টিন–এজারদের জন্য খুব উপকারী।
ডার্মা পিল আরবান হোয়াইট: ত্বকে দাগ ছোপ দেখা দিলে, জেল্লাহীন হয়ে পড়লে এই ফেশিয়াল খুব কার্যকরী। ত্বকের মেলানিন পুষ্ট করে, এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে মৃত কোষ সরায়।
ফ্রুট মার্মালেড ফেশিয়াল: এই ফেশিয়াল নানা রকমের হয়। যেমন—
বিয়ার বেরি মার্মালেড ফেশিয়াল– এটি খুব ভাল ডিটক্সিফায়ার। ত্বক রিহাইড্রেট করে, পিএইচ– এর ভারসাম্য বজায় রাখে, ত্বকের রং হালকা করে।
কিউয়ি মার্মালেড ফেশিয়াল– এটি ত্বক হালকা করার সঙ্গে সঙ্গে বয়সের ছাপ কমায়। ইলাস্টিনের মধ্যেকার বন্ধন শক্ত করে অ্যাডভান্সড গ্রেপস মার্মালেড ফেশিয়াল – দূষণ ও সূর্যের রশ্মির প্রভাবে ত্বক শুষ্ক, জেল্লাহীন হয়ে পড়ে। এই ফেশিয়াল ত্বক রিহাইড্রেট করে, জেল্লা ফেরায়, রোদে পোড়াভাব, কালো ছাপ কমায়।
পাইনঅ্যাপেল মার্মালেড ফেশিয়াল– এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপকারী
পিয়োর প্ল্যাটিনাম, ২৪ ক্যারাট গোল্ড ও অয়েস্টার পার্ল দিয়ে ফেশিয়াল: এগুলো সাধারণ পাত্রীরা করে থাকেন। যাঁদের গায়ের রং শ্যামলা, তাঁদের অয়েস্টার পার্ল ফেশিয়াল করা হয়। এতে ফরসা দেখায়। পিয়োর গোল্ড ফেশিয়াল ত্বকের গভীরে ঢুকে জেল্লা আনে। প্ল্যাটিনাম ফেশিয়াল বয়সের ছাপ ঢাকে।
৩৬০ ডিগ্রি বোটানিক্যাল আই ট্রিটমেন্ট: চোখের চারপাশে ধকল, ক্লান্তি, কাজের চাপের ফলে ডার্ক সার্কল দেখা দেয়। অনেকসময় চোখের দু‘পাশে চামড়া কুঁকড়ে যায়, বলিরেখা পড়ে, চোখের নীচে ফুলে যায় (পাফড আই)। এই সমস্ত ক্ষেত্রে এই ফেশিয়াল খুব কার্যকরী।
এক্সারসাইজ
রোজকার যোগব্যায়ামের ফলে বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে। কারণ, এতে রক্তচলাচল বাড়ে, রক্তকোষে বেশিমাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ হয়।
মুখের এক্সারসাইজের ফলে বয়সের ছাপ দেরিতে পড়ে— এটা ভুল ধারণা। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজির মতে— *প্রতিবার যখন আমরা মুখের পেশি ব্যবহার করছি, একটা খাঁজ তৈরি হচ্ছে। ত্বকের যত বয়স বাড়ছে, ইলাস্টিসিটি কমছে এবং সেই খাঁজ স্থায়ীভাবে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখার মাধ্যমে।‘
জীবনধারা
১। ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন।
২। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, সুস্থ জীবনধারা ও ব্যালান্সড ডায়েট খুব জরুরি।
৩। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টযুক্ত খাবার যেমন– টোম্যাটো, মাছ, জাম, রসুন, লেবু খান।
৪। ফাইবার থাকে এমন খাবার ডায়েটে রাখুন।
ট্রিটমেন্ট যা চেহেরায় নেমে আসা বুড়ুোটে ভাব দূর করে
অ্যান্টি –এজিং ক্রিমঃ কেমিক্যাল পিল খুব কার্যকরী। এতে অ্যাসিড বেসড সলিউশন থাকে যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত স্তর সারিয়ে নতুন কলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে।
মাইক্রোডার্মাব্রেশন বা স্কিন পলিশিংঃ এই পদ্ধতি তে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রুক্ষ আলুমিনিয়াম অক্সাইড ক্রিস্টাল, ত্বকের ওপরের স্তর পরিষ্কার করে, কোষের মেরামত করে। মুখের ক্ষতচিহ্ন দূর করতেও কেমিক্যাল পিল–এর সঙ্গে মাইক্রোডার্মাব্রেশন করুন।
ইলেক্ট্রোস্টিমিউলেশনঃ এই পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রোস্টিমিউলেশন ওয়েভ যা শরীরের কোনও ক্ষতি করে না, তা ব্যবহার করা হয়। এই ওয়েভ কোলাজেনের স্তর গরম করে, তাদের মধ্যেকার বন্ধন শক্ত করেও নতুন কোলাজেন তৈরি করে। লিমফ্যাটিক ড্রেনেজ উন্নত হয়, মুখের চামড়াও নরম হয়
লেজার ও ইনটেন্স পালস লাইটঃ দু‘ধরনের লেজার ব্যবহার করা হয়—
নন ইনভেসিভ লেজারঃ এগুলো সাধারণত আইপিএল লেজার। এতে আলোর রশ্মি ত্বকের মধ্যে দিয়ে গিয়ে ত্বকের নীচের কোলাজেনের স্তর গরম করে তোলে ও নতুন কোলাজেন তৈরি করে। ব্রোকেন ক্যাপিলারি ও এজ স্পট সারায়।
ইনভেসিভ বা ফ্র্যাকশনাল লেজারঃ এই পদ্ধতিতে ত্বকে অতিক্ষুদ্র ছিদ্র তৈরি হয় যার মধ্যে দিয়ে এনার্জি ভিতরে ঢুকে ক্ষত মেরামত করে। বলিরেখা সারাতে সক্ষম।
‘রেডিয়োফ্রিকোয়েন্সি ডিভাইসেসঃ যন্ত্র যা রেডিয়োফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভ ব্যবহার করে ঝুলে পড়া ত্বক টান টান করে। এছাড়াও কিছু ‘কুইক ফিক্স‘ ট্রিটমেন্ট রয়েছে চেহারায় পড়া বুড়োটেভাব দূর করতে। যেমন—
বোটুলিনিয়াম টক্সিনঃ এটি একজাতীয় মাসল রিল্যাক্স্যান্ট যা সক্রিয় বলিরেখা (বলিরেখা যা মুখের গতিবিধির সময়ে দেখা দেয়)-র ওপর কাজ করে। পেশিতে ইনজেক্ট করলে পেশি হালকা হয়। ফলে, বলিরেখা দেখা দিতে পারে না। কপাল, চোখের চারদিক ও গলার বলিরেখা দূর করতে কার্যকরী। একবার ইনজেক্ট করলে প্রভাব থাকে ৬–৯ মাস
ফিলার্সঃ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন তৈরির হার কমে ও বলিরেখা দেখা দেয়। ফিলার্স বলিরেখা দূর করে।
সারজিক্যাল ফেস লিফটঃ প্লাস্টিক সার্জন সার্জিক্যাল পদ্ধতিতে মুখের ঝুলে পড়া চামড়া, নীচের পেশি ও টিশু টান টান করে তোলেন
থ্রেড ফেস লিফটঃ সার্জিক্যাল ফেস লিফটের বিকল্প এই পদ্ধতি। গলা, গাল ও চোয়ালের চামড়া ঝুলে পড়লে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ডার্মাটোলজিস্ট একটা সরু সুতো মুখের অতিক্ষুদ্র ফুটোর মধ্যে দিয়ে ঢুকিয়ে দেন। সুতোর খাঁজ নীচের টিশুতে আটকে যায়। তারপর সুতোটি টেনে বের করে নেওয়া হয়। এতে মুহূর্তে ফেস লিফট হয়
মুখের ত্বকের কিছু সাধারণ সমস্যা ও তার চিকিৎসা
ডায়ালিটেড ক্যাপিলারিঃ বয়স বাড়লে মুখের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র রক্তনালি ফেটে যাওয়া ও ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়ায় ত্বকে ডায়ালিটেড ক্যাপিলারি দেখা যায়। স্কেলোথেরাপি (রক্তনালিতে এক বিশেষ প্রকারের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়) বা লেজারের মাধ্যমে এর চিকিৎসা হয়।
লোমকূপ বড় হয়ে যাওয়াঃ বয়স বাড়লে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে। ফলে, লোমকূপের আকার বড় হয়ে যায়। এরিবাম গ্লাস লেজার পদ্ধতির মাধ্যমে এর চিকিৎসা হয়।
পিগমেন্টেশনঃ সূর্যের ইউভি রশ্মি দূষণের ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মুখে কালো দাগছোপ, বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে পিগমেন্ট লাইটেনিং ক্রিম লাগান
পিগমেন্টেশনের ক্ষেত্রে এনডি ইয়্যাগ লেজার করান
মুখে অত্যধিক লোম বা চুলঃ বয়স বাড়লে বা হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে মুখে চুল বা অত্যধিক লোম দেখা দেয়। হেয়ার রিমুভাল লেজার্স আইপিএল করান।
ফেশিয়াল হেয়ারের ক্ষেত্রে লং পালস এনডি ইয়্যাগ লেজারের মাধ্যমেও স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়
অমসৃণ ও জেল্লাজীন ত্বকঃ কেমিক্যাল পিলস বা মাইক্রোডার্মাব্রেশনের মাধ্যমে অমসৃণ ত্বক সম্পূর্ণ সারানো যায়। জেল্লা ফিরে আসে।
বলিরেখাঃ বোটক্স (বোটুলিনাম)-এর মাধ্যমে বলিরেখা দূর করা যায়।
স্থায়ী বলিরেখা, কুঁচকানো ত্বক, মুখের আয়তন হ্রাস পাওয়াঃ ন্যাসোলেবিয়াল ফোল্ডে হাইয়ালুরনিক অ্যাসিড ফিলার্স বা মিড ফেস ফিলার্স ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যার চিকিৎসা হয়।
ঝুলে পড়া ত্বকঃ থ্রেড লিফট প্রক্রিয়ার ত্বক: মাধ্যমে চিকিৎসা হয়।
ত্বকের আয়ূবৃদ্ধিঃ বলিরেখা দূর করতে নানা রকমের ফিলার্স ব্যবহার করা হয়। হাইড্রেটিং ফিলার্সে ভিটামিন যুক্ত করে প্লেটলেট রিচ প্লাজমা ইঞ্জেকশন দিতে হবে।
পুরনো ট্যাটু বা উল্কি সরাতেঃ এনডি ইয়্যাগ লেজার করান
ক্ষতচিহ্নঃ কার্বন ডাইঅক্সাইড ফ্র্যাকশনাল লেজারের মাধ্যমে ব্রণ, যে কোনওরকম ক্ষতচিহ্ন বা অপারেশনের পর সেলাইয়ের দাগ ফিকে করা যায়।
কানের ফুটো বড় হয়ে যাওয়াঃ সহজেই স্কিন গ্লু বা suture-এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়
স্ট্রেচ মার্কস: অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। ডার্মারোলার বা কার্বন ডাইঅক্সাইড লেজার