
মাছের রোগ ও তার প্রতিকার
মাছের রোগ ও তার প্রতিকার
মাছের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও রোগ প্রতিরোধে কয়েকটি অবশ্য পালনীয় বিধি:
১. পুকুরে নিয়মিত চুন প্রয়োগ করুন। প্রতিমাসে বিঘা প্রতি জল করে ১০ কেজি হারে চুন দিলে অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ও মাছের বাড় ভালো হয়।
২. পুকুরে পাঁক বেশি থাকলে পুকুর সংস্কার করে ফেলুন।
৩. পুকুরে উপযুক্ত সাইজের সঠিক সংখ্যায় মাছ রাখুন। কখনো অধিক সংখ্যায় ঠাসাঠাসি করে মাছ রাখবেন না। এতে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে।
৪. গ্রীষ্মে পুকুরে জল কমে গেলে জল ভরার ব্যবস্থা করুন।
৫. চারাপোনা স্থানান্তরের সময় চোট লাগে। তাই পুকুরে চারাপোনা ছাড়ার আগে তাদের লবণ জলে (১ লিটারে ২
গ্রাম) অথবা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (২০০ লিটার জলে ১ গ্রাম) দ্রবণে ভালো করে স্নান করিয়ে ছাড়ুন।
৬. পুকুরে খাদ্যের যোগান ঠিক রাখুন।
৭. মাসে একবার জাল টেনে মাঝের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এবং পুকুরের তলদেশের পাক ঘেঁটে দিন।
৮. নীরোগ এবং স্বাস্থ্যবান চারা পুকুরে ছাড়ুন ।
৯. সম্ভব হলে পুকুর শুকিয়ে পুকুরের তলদেশে রোদ–হাওয়া খাইয়ে দিন ।
১০. পুকুরের পাড় ভালো করে বাঁধুন। দূষিত নর্দমার জল বা ধোয়ানি এবং কোন বিষ যেন পুকুরে না ঢোকে।
১১. পুকুরের পাড় এবং জলের জঙ্গল ও আগাছা পরিস্কার করে দিন
অন্যান্য প্রাণীর মত মাছের নানা রকম রোগ হতে পারে। মাছের রোগকে 2 ভাগে ভাগ করা যায়।
(ক) যে সমস্ত রোগের লক্ষণ দেহের বাইরে প্রকাশ পায়।
(খ) যে সমস্ত রোগের লক্ষণ দেহের বাইরে প্রকাশ পায় না।
সাধারণতঃ আবর্জনা পচে পুকুরে অক্সিজেনের ঘাটতি অথবা পুকুরের তলদেশে দূষিত গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার ফলে পুকুরের পরিবেশ দূষিত হয়। এই দূষিত পরিবেশ মাছের রোগ হয়—ছত্রাক দ্বারা, জীবাণুর আক্রমণে, এককোষী প্রাণী প্রোটোজয়া দ্বারা, ক্রিমি দ্বারা, সন্ধিপদ প্রাণী দ্বারা। কিন্তু এই ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেতনতার অথবা সদিচ্ছার অভাব মাছের ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয় এবং চাষী ভাইদের প্রায়ই প্রভূত আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।এখানে যে প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে তা করার আগে বিশেষজ্ঞ বা প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
(১) ছত্রাক দ্বারা
সাধারণত মাছের মধ্যে এক রকমের রোগ হয় যার মূলে আছে ছত্রাক। চারাপোনা, চালাপোনা, মাছ পরিবহণ অথবা মাছের বৃদ্ধি নির্ধারণ করার সময় বা প্রজনন উপযুক্ত মাছের পরিবহণের সময় মাছের দেহে কোনো রকম আঘাত লাগলে মাছ ছত্রাক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
লক্ষণ : মাছের দেহে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা সুতোর মত ছত্রাক হয়। মাছের দেহে ক্ষত হয়, রক্তপাত হয়।
প্রতিকার : ১ লিটার জলে ৩ গ্রাম খাবার লবণ অথবা ১০লিটার জলে ৩ গ্রাম তুঁতে (কপার সালফেট) অথবা ১ লিটার জলে ১ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের যে কোন একটি দ্রবণে আক্রান্ত মাছগুলিকে ৫–১০ মিনিট অথবা যতক্ষণ না অসাচ্ছন্দ্য বোধ করে ততক্ষণ স্নান করিয়ে ছেড়ে দিলে রোগের উপশম হয়। প্রয়োজনে এই প্রক্রিয়ার দু‘বার পুনরাবৃত্তি করা দরকার ।
পুকুরে ছাড়ার আগে প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম খাবার লবণ অথবা ১ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে ২–৩ মিনিট মাছগুলিকে শোধন করে নিলে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায় ।
(২) ফুলকা পচা
ছত্রাক আক্রান্ত হয়ে মাছের ফুলকা পচে যায়। সাধারণতঃ গ্রীষ্মকালে পুকুরের জল কমে গেলে ব্রঙ্কিওমাইসিস নামে এক জাতীয় ছত্রাক মাছের ফুলকায় বাসা বাঁধে এবং রক্তবাহী শিরাগুলি বন্ধ করে দেয়। ফলে শ্বাসকষ্টে মাছ ভেসে ওঠে এবং চরম অবস্থায় মারা যায়।
লক্ষণ : ফুলকা চিরুনির উপর লাল ছিট ছিট দাগ দেখা যায়। পরবর্তীকালে এগুলি ঈষৎ ধূসর সাদা রঙের এবং ফুলকার গোড়ার হাড়টুকু বাদ দিয়ে পুরো ফুলকাটি খসে পড়ে। মাছ শ্বাসকষ্টে ভোগে এবং জলের উপরে খাবি খেতে দেখা যায় । ফুলকা বেশি পচলে মাছ জলের ওপরে ভেসে মারা যায়। সাধারণত পুকুরের জলে জৈব পদার্থ পচে দুষিত হলে এরকম রোগ হয়।
প্রতিকার : এই রোগে আগের মত লবণ জলে মাছকে ডুবিয়ে নিলে ফুলকার পচন রোধ হয়। পুকুরে চুন 200 কেজি প্রতি হেক্টর হারে প্রয়োগে মাছের রোগ কম হতে পারে।
জলের দূষণ রোধ করা। পরিপূরক খাবার অথবা সার প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ করা। পুকুরে পরিষ্কার জল ঢোকানোর ব্যবস্থা করা। কম সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১ লিটার জলে ৩–৫ গ্রাম খাবার লবণ অথবা ১ লিটার জলে ৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশিয়ে ঐ দ্রবণে আক্রান্ত মাছগুলিকে ৫–১০ মিনিট স্নান করাতে হবে ।
(৩) জীবাণুর আক্রমণ
লেজ ও পাখনা পচা : জীবাণুর আক্রমণে মাছের পাখনা পচা ও লেজ পচা ও দেহে জল জমে শোথ বা উদরী রোগ দেখা দেয়। অনেক সময় মাছের চোখ জীবাণুর আক্রমণে নষ্ট হয়ে যায়। পুকুরে পাঁকের পরিমাণ খুব বেশি হলে বা পুকুরে বাইরে থেকে পচা জল এসে জমা হলে সেরকম পুকুরের মাছে এইসব রোগ দেখা দেয়। ছোট–বড় প্রায় সব মাছেই এই রোগ দেখা যায়। এটি খুবই সংক্রামক রোগ এবং চাষীভাইদের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে।
লক্ষণ : সাধারণত মাছের লেজের ডগার দিকে প্রথম পচন শুরু হয়। শেষে মাছের দেহে পচন আরম্ভ হয়। পাখনাতেও এই রোগ হয়।
প্রতিকার : এই রোগ আক্রান্ত মাছকে কপার সালফেট দ্রবণে ডুবিয়ে নিলে উপকার হয়। ২ লিটার জমে ১ গ্রাম তুঁতে গুলে সেই দ্রবণে আক্রান্ত মাছগুলিকে পরপর ৩–৪দিন ১–২ মিনিট স্নান করালে রোগের উপশম হয়। জল দিয়ে তুঁতের মলম তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলেও ভালো ফল পাওয়া যায় ।পুকুরটিতে 1 পি.পি.এম. পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ দিলে প্রতিকার হতে পারে। খাদ্যের সঙ্গে টেরামাইসিন মিশিয়ে মাছকে কয়েকদিন পরিবেশন করলে এ রোগের প্রতিকার করা যাবে। প্রতি কেজি খাদ্যের সঙ্গে 100 মিলিগ্রাম ওজনের টেরামাইসিন ট্যাবলেট প্রয়োগ করতে হয় এবং প্রায় 7 দিন এরকম ওষুধ মিশ্রিত খাদ্য পরিবেশন করতে হবে।
(৪) শোথ রোগ :
মাছের শরীরের ভেতর জল জমে। পেটে চাপ দিলে মলদ্বার দিয়ে জল বের হয়। এরকম রোগের নাম শোথ বা ড্রপসি। মাছের দেহের আঁশ সামান্য খাড়া হয় আর তার নিচে জল জমে। মাছের দেহ পরীক্ষা করলে লক্ষণ ধরা পড়ে।
প্রতিকার : (i)যে সব মাছের দেহে অতিরিক্ত জল জমেছে, তাদের নষ্ট করে দেওয়া ভাল। কারণ এই রকম রোগের জীবাণু খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে রোগের প্রসার ঘটায়। প্রতিকার হিসাবে পুকুরে পটাস পারম্যাঙ্গানেট প্রয়োগ করতে হয়। পুকুরটিতে 1 পি.পি.এম. পটাস পারম্যাঙ্গানেটের দ্রবণ দিতে হয়। মাছের খাদ্যের সঙ্গে টেরামাইসিন ট্যাবলেট মিশিয়ে পুকুরে প্রয়োগ করে এ রোগের প্রতিকার করা যায়।
(ii)মাছের খাবার প্রয়োগ এবং সার প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। ১ লিটার জলে ৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট গুলে সেই দ্রবণে আক্রান্ত মাছগুলিতে ২–৩ মিনিট স্নান করালেও ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়াও ৪.৫ লিটার জলে ৬০ মিলিগ্রাম ক্লোরোমাইসেটিন পাউডার গুলে সেই দ্রবণে ২ মিনিট স্নান করালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
(৫) প্রোটোজোয়ার আক্রমণে রোগ
প্রোটোজোয়া বা এককোষী প্রাণী মাছের রোগের কারণ হয়। মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নষ্ট করে দেয়। নার্সারি পুকুর, পালন পুকুরে চারাপোনা ও চালাপোনার ওপর এইসব পরজীবীদের আক্রমণ বেশি হয়।
লক্ষণ: অনেক পরজীবী প্রোটোজোয়া মাছের দেহে আশ্রয় নেয়। পুকুরে বেশি সংখ্যায় মাছ রাখলে বিশেষ করে লালন পুকুরে বর্ষার শেষে বা শীতের মুখে মাছের গায়ে, ফুলকায়, চামড়ায় এবং পাখনায় বসন্তগুটর মত সাদা সাদা, হলদে সাদা বা কালচে সাদা রঙের গুটি দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মাছের বৃদ্ধি হয় না এবং মাছ মারা যায়।
প্রতিকার : পুকুরে মাছের সমাবেশ কমিয়েও পুকুরে পালিত মাছের জন্য খাদ্য যোগানের ব্যবস্থা করে এই অবস্থার উন্নতি করা যায়।এই রোগের প্রতিরোধে শতকরা দু‘ভাগ লবণ জলে দ্রবীভূত করে মাছকে ডুবিয়ে নিয়ে আবার পুকুরে ছাড়লে উপকার হয়। পুকুরে চুন প্রয়োগ করে এই রোগের আক্রমণ কমানো যায়। হেক্টর প্রতি 225-300 কেজি চুন দিতে হবে। এছাড়াও প্রতি ২.৫ লিটার জলে ১ মিলিলিটার ফরমালিনের দ্রবণে ১০–১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলেও এই রোগ সারে। পুকুরে মাছ হালকা করে দিতে হবে। প্রতি কেজি খাবারের সাথে একটি করে ইস্টের বড়ি মিশিয়ে খেতে দিলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
(৬) কৃমির আক্রমণ
নার্সারি পুকুর ও লালন পুকুরে মাছকে ক্রিমি যথেষ্ট ক্ষতি করে। মাছের ক্রিমি যা আঁতুড় পুকুর বা লালন পুকুরে দেখা যায় তা হল গাইরোডাকটাইলাস ও জ্যাকটাইলোগাইরাস। এই সব পরজীবীদের বর্ষাকালে দেখা যায়।কৃমিজনিত রোগ দুপ্রকার।
(১) চ্যাপ্টা কৃমি–জনিত রোগ : এই পরজীবিরা অতি ক্ষুদ্র । এরা সূক্ষ্ম হুকের সাহায্যে মাছের দেহে, ফুলকায় আটকে থেকে রক্ত শোষণ করে খায় এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে ।
লক্ষণ : মাঝের রঙ বিবর্ণ হয়ে যায়। আঁশ ঝরে যায়। অত্যধিক লালাক্ষরণ হতে থাকে। মাছ শ্বাসকষ্টে ভোগে এবং মারা যায়। আক্রান্ত মাছকে শক্ত জায়গায় গা ঘষতে দেখা যায় ।
প্রতিকার : ২ লিটার জলে ১ মিলি অ্যাসেটিক অ্যাসিড এবং ২ লিটার জলে ১ গ্রাম খাবার লবণ মিশিয়ে মিশ্রিত দ্রবণে পর্যায়ক্রমে ৫–১০ মিনিট আক্রান্ত মাছকে স্নান করালে সুফল পাওয়া যায়।
(২) ফিতাকৃমি–জনিত রোগ :
এদের আক্রমণ বর্ষার শেষে চারা পোনাদের মধ্যে দেখা যায়।
লক্ষণ : মাছ দুর্বল এবং শ্লথ হয়ে পড়ে। খাদ্যনালী ফুলে যায়। রোগ চরমে উঠলে পেট ফুলে ফেটে যায়। ফলে মাছের মৃত্যু হয়।
প্রতিকার : সরাসরি কোন প্রতিকার নেই। আক্রান্ত মাছ তুলে ফেলে বিঘা প্রতি ৩০–৪০ কেজি চুন দিয়ে পুকুরে জল শোধন করে নেওয়া দরকার ।
(৭) সন্ধিপদ প্রাণীর আক্রমণ
মাছের উকুন : সাধারণত রুই, কাতলা, মৃগেল মাছের দেহ, ফুলকাতে সন্ধিপদ প্রাণী আক্রমণ করে। এরকম পরজীবীদের বলা হয় আরগুলাস, বাংলায় বলে মাছের উকুন।
এদের আক্রমণ শীতকালে দেখা যায়। দেখতে কাচের টিপের মত। জলে সাঁতরে বেড়ায়। এদের ৪টি পা আছে। মাছের মত ছোট লেজ আছে।
লক্ষণ : এর আক্রমণে মাছের বৃদ্ধি কমে যায়। মাছের আঁশ আলগা হয়, মাছের দেহে পোকার আক্রমণের ফলে রক্তের চিহ্ন দেখা যায়। এই পরজীবীদের আক্রমণে মাছ ছটফট করে। পুকুরের কিনারায় দেহ ঘষে মাছ রোগা হয়ে যায়।
প্রতিকার: এই আক্রমণের প্রতিকারের জন্য সামান্য দ্রবীভূত হয় এরকম গ্যামাক্সিন W.D. – 6.25, 0.2 P.P.M. মাত্রায় পুকুরের জলে প্রয়োগ করলে এই পরজীবীদের আক্রমণ থেকে মাছকে রক্ষা করা যায়। এই রকম প্রয়োগ 2-3 বার করার প্রয়োজন হতে পারে। পুকুরে মাঝে মাঝে কাঠের বা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রাখলে মাছ দেহ ঘষে ঘষে এই পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পায়।
(৮) চোখের রোগ :
একটি মহামারী রোগ। সাধারণতঃ মাঝারি এবং বড় সাইজের কাতলা মাছে এই রোগ বেশি দেখা যায় ।
লক্ষণ : প্রাথমিক অবস্থায় মাঝের চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায় এবং বড় সাইজের কাতলা মাঝে এই রোগ বেশি দেখা যায় ।
প্রতিকার: বিঘা প্রতি ৩০–৪০ কেজি চুন পুকুরে ছড়িয়ে জল শোধন করতে হবে। এছাড়াও ক্লোরোমাইসেটিন / টেট্রাসাইক্লিন / অক্সিটেট্রাসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাবারের সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।
ওষুধের মাত্রা :
প্রথম এবং দ্বিতীয় দিন : প্রতি কেজি খাবারে ১০০ মিলিগ্রাম।
তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন : প্রতি কেজি খাবারে ৫০ মিলিগ্রাম।
পঞ্চম এবং ষষ্ঠ দিন: প্রতি কেজি খাবারে ৫০ মিলিগ্রাম।