হিপস সত্যিই, ‘হিপস ডোন্ট লাই‘। আপনার হিপস–এ সমস্যা হলে তা ধরা পড়বেই! কী করবেন?
☞ যাঁদের ওজন বেশির দিকে, ব্রণর সমস্যা আছে, তাঁদের হিপসে ফলিকুলাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই একটানা বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।
☞ একই ভঙ্গিতে অনেকক্ষণ বসে থাকলে এই অংশে রক্ত চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চামড়া খরখরে হয়ে যায়। ৪৫ মিনিট একটানা বসার পর ৫ মিনিট বিরতি নিয়ে হাঁটাচলা করুন।
☞ টাইট অন্তর্বাস পরবেন না।
☞ হিপসেরও ক্লেনজিং, এক্সফোলিয়েশন, ময়েশ্চারাইজিং প্রয়োজন।
☞ ১ টেবিল চামচ চিনি, ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ও ১ চা চামচ ভিটামিন সি ক্রিস্টাল মিশিয়ে প্যাক বানান। হিপসে লাগিয়ে ১৫– ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চামড়া নরম হবে, ঔজ্বল্যও বাড়বে।
☞ হিপসে ব্রণ কমাতে ১০–১২ ফোটা লেবুর রস, ১ চা চামচ অলিভ অয়েল, ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রসে সংক্রমণ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে, অলিভ অয়েল আর মধু ময়েশ্চারাইজ করে।
☞ হিপসে বলিরেখা দূর করতে ১ টেবিল চামচ কোকো বাটার আর ১ টেবিল চামচ পেঁপেবাটা মিশিয়ে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। কোকো বাটারে অ্যান্টি–রিংকল প্রপার্টি রয়েছে, পেঁপে ত্বক মসৃণ করে, মৃত কোষ সরায়, অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ও ক্ষত সারানোর গুণও রয়েছে
☞ নরম মসৃণ হিপসের জন্য প্রথমে ত্বকের এক্সফোলিয়েশন করুন, মৃত কোষ দূর হবে। এরপর নারকেল তেল আর অলিভ অয়েল গরম করে মাসাজ করুন। তারপর গরম তোয়ালে চেপে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
☞ হিপসে ব্রণর সমস্যা হলে তেল মাসাজ করবেন না। ব্রণ বাড়বে।
☞ মুসুর ডাল আর মিল্ক ক্রিমের মিশ্রণ ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, ত্বক মসৃণ করে। মুসুর ডাল খুব ভাল এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে, মিল্ক ক্রিম ত্বকে পুষ্টি জোগায়, ত্বক নরম করে। ৩ টেবিল চামচ মুসুর ডাল সারারাত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ডাল ছেঁকে নিয়ে বেটে নিন। ১ টেবিল চামচ মিল্ক ক্রিম মিশিয়ে হিপসে ২–৩ মিনিট লাগিয়ে রেখে ভিজে হাত দিয়ে স্ক্রাবিং করুন। আরও ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
☞ কমলা বা পাতিলেবুর খোসা, চিনি আর মধু দিয়ে তৈরি স্ক্রাবও হিপের দাগ ছোপ দূর করে, ত্বক নরম করে। খোসা হালকা ছিঁড়ে নিন। গুঁড়ো করবেন না। এরমধ্যে ☞ টেবিল চামচ চিনি আর ৪ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ২–৩ মিনিট সারকুলার মোশনে মাসাজ করুন। ২ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন
☞ দাগ ছোপ এড়াতে ব্রাউন সুগার, দুধ, লেবুর রসের প্যাক কার্যকরী। দুধ ত্বকে পুষ্টি জোগায়, ব্রাউন সুগার ভাল এক্সফোলিয়েটর। ৪ টেবিল চামচ দুধে ৫–৬ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ভাল করে ঘষে ঘষে মাসাজ করুন। ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
হিপসের রং হালকা করতে
☞ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় হিপসের চামড়া কালচে হয়। এই হাইপারপিগমেন্টেশনের প্রধান কারণ বেঠিক রক্ত চলাচল, শক্ত খরখরে জামার ঘষা খাওয়া রং হালকা করতে, দাগ ছোপ কমাতে লেবুর খোসা কালচে অংশে ৫ মিনিট মতো ঘষুন। ১০ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ফল পাবেন। রং অনেকটা হালকা হবে।
☞ ১ চা চামচ লেবুর রসে ১/২ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে হিপসের কালো অংশে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ইনফেকশন কমায়, চামড়ার রং হালকা করে, গ্লিসারিন ত্বকে পুষ্টি জোগায়, ময়েশ্চারাইজ করে, ত্বক নরম করে তোলে।
☞ চিনি আর দুধ দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রোজ স্নানের সময়ে ৫ মিনিট মাসাজ করুন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ঝলমল করবে।
☞ ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশনে খুব ভাল কাজ করে দই আর হলুদের মিশ্রণ। হলুদে অ্যান্টিসেপ্টিক প্রপার্টি রয়েছে, দই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে। এই মাস্ক ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
☞ ত্বকের কালো ছোপ দূর করতে ২–৩টে শসার টুকরো, ২ টেবিল চামচ দুধ আর ১০ ফোটা লেবুর রসে মেশান। এই প্যাক কালচে অংশে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
☞ হিপসের মাসাজ অত্যন্ত জরুরি। এতে কালচেভাব দূর হয়, ত্বক নরম হয়। ১ টেবিল চামচ নারকেলের তেলে ১০ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে কালো অংশে ১০ মিনিট মাসাজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নারকেল তেল হাইপারপিগমেন্টেশন কমায়, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে
☞ ২ চা চামচ আমন্ড অয়েল আর ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে কালো ছোপে বৃত্তাকার গতিতে ১৫ মিনিট মতো মাসাজ করুন।
☞ একটা ছোট আলু কুরিয়ে রস বের করে নিন। এরমধ্যে ১ চা চামচ সর্ষের তেল মিশিয়ে কালো অংশে ১০ মিনিট মতো মাসাজ করুন। এবার ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। আলুতে প্রাকৃতিক ব্লিচিং গুণ রয়েছে, কালো ত্বক হালকা করে। সর্ষের তেল ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে।
☞ পিগমেন্টেশন কমাতে টোম্যাটোর কোনও বিকল্প নেই। একটা টোম্যাটোর টুকরো কালো অংশে ৫ মিনিট ঘষে ২ মিনিট রেখে আবার ৫ মিনিট ঘষে, ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
☞ পেঁপে খুব ভাল ব্লিচিং এজেন্ট। পেঁপে বেটে হিপসের কালো অংশে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
☞ কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এই গুঁড়ো ২ চা চামচ দুধের সঙ্গে মিশিয়ে কালো অংশে লাগান। এই প্যাক স্ক্রাব হিসেবে খুব ভাল কাজ করে। ৫ মিনিট মাসাজ করার পর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন
☞ ওটমিল আর অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের প্যাক হাইপারপিগমেন্টেশন কমায়। ১ টেবিল চামচ ওটমিল ও ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে ১০ মিনিট মাসাজ করে আরও ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
☞ সপ্তাহে এক দিন কালো অংশে কোকো বাটার মাসাজ করুন।