পেট লম্বা আওয়ার গ্লাসের মতো পেট, মাখন যেন চলকে পড়ছে। কীভাবে পেটের ত্বক মখমলের মতো রাখবেন?
➸ গর্ভাবস্থায় পেটে স্ট্রেচ মার্কস দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে কখনওই নিজে ডাক্তারি করে, ওষুধের দোকান থেকে নানারকম মলম কিনে লাগাবেন না। অজান্তে সেইসব মলম, যাতে স্টেরয়েড আছে, লাগালে চামড়া ফেটে যায়।
➸ বয়ঃসন্ধির সময়েও স্ট্রেচমার্কস দেখা যায়। স্ট্রেচমার্কস রুখতে বেশি পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
➸ স্টেচমার্কস হলে এক্সারসাইজ করুন। এতে পেশি সংকুচিত হয়ে চামড়ার প্রাথমিক স্বন ফিরিয়ে আনে
➸ এর পরেও দাগ থাকলে লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে দাগ কমানো যায়
➸ রোদে বেরোনোর আগে পেটেও সানস্ক্রিন মাখুন। তবে অন্তত ৩০ মিনিট আগে মাখবেন
➸ স্নানের বা সাঁতার কাটার পর পেটে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
➸ আমাদের শরীরের প্রোটিনের ২৫ শতাংশ কোলাজেন দিয়ে তৈরি। এই প্রোটিন শরীরের কোষের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর পেটের ইলাস্টিসিটি কমে যায়, কাজেই বেশি করে কোলাজেনের জোগান প্রয়োজন। ডায়েটে তোফু, সয়া মিল্ক, ভিটামিন সি–এ ভরপুর খাবার যেমন, অ্যাসপ্যারাগাস, গাজর, পালং শাক, টোম্যাটো ও ওমেগা থ্রি–এ ভরপুর খাবার যেমন স্যামন, টুনা রাখুন। এইসমস্ত খাবার শরীরে কোলাজেন তৈরির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
➸ পেটের চামড়া টান টান, আঁটসাঁট করতে স্ট্রেচমার্কস কমাতে নতুন কোষ তৈরি করতে, প্রচুর পরিমাণে জিংকের সরবরাহ প্রয়োজন। জিংক–সমৃদ্ধ খাবার যেমন পিনাট, কুমড়োর বীজ, তিল, গুগলি খান।
➸ খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমিয়ে ফেললে পেটের চামড়া ঢিলে হয়ে যায়। কাজেই তড়িঘড়ি নয়, ধীরে ধীরে ওজন কমান।
➸ চামড়া কুঁচকে গেলে কার্বন ডাইঅক্সাইড লেজার করান। মাসে একবার লেজার করাতে হবে। ৬–৭টা করালে অনেকটাই কসমেটিক উন্নতি হয়।
➸ যাঁরা মোটা, ডায়াবিটিক, তাঁদের কোমরে ও পেটে ভাঁজ পড়ে। এই ভাঁজে জল, ঘাম জমে ফাংগাল সংক্রমণ হয়। লক্ষ রাখবেন, শরীরের ভাঁজ যেন সবসময় শুকনো থাকে।
➸ প্রতিদিন পেটের চামড়া ভাল করে পরিষ্কার করুন।
➸ স্নানের সময় পেটের চামড়া মাসাজ করুন। আঙুল দিয়ে ত্বক চেপে চেপে মাসাজ করুন, এতে রক্তচলাচল ভাল হয়, ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ে।
➸ স্নানের সময় সি–সল্ট দিয়ে এক্সফোলিয়েশন করুন। এতে মৃত ত্বক কোষ ঝরে পড়ে।
➸ যদি পেটের ত্বক ঢিলে ও শুকনো হয়, কড়া সাবান ব্যবহার করবেন না। কারণ, ওই জাতীয় সাবানে সালফেট থাকে যা ত্বক শুকনো ও আর্দ্রতাশূন্য করে।
➸ খুব গরমজলে স্নান করা নৈব নৈব চ। এতে ত্বক শুকনো হয়ে পড়ে।
➸ ওয়ার্ম বাথ নিন। এতে ত্বক টান টান থাকে।
➸ ত্বক ভাল রাখার জন্য নুন খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সপ্তাহে দু‘দিন ৫০০ গ্রাম নুন গরম করে, কাপড়ের পুটলিতে বেঁধে ত্বকে চেপে ধরুন। যতক্ষণ–না নুন ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে চেপে ধরে রাখুন।
➸আদার মধ্যে হিটিং প্রপার্টি রয়েছে যা পেটের চর্বি কমিয়ে পেটের চামড়া টাইট, টান টান, টোনড রাখে। ৫০০ গ্রাম আদা ব্লেন্ডারে থেঁতো করে, নুনে মিশিয়ে গরম করে নিন। কাপড়ের পুঁটলিতে এই গরম মিশ্রণ নিয়ে পেটের ত্বকে চেপে চেপে মাসাজ করুন।
➸প্রতিদিন সকালে খালিপেটে লেবুর রস খান। এতে পেটের চর্বি তো কমবেই, ত্বকও উজ্জ্বল হবে।
➸পেটে কখনওই সরাসরি লেবুর রস লাগাবেন না। এতে ত্বকে জ্বালা জ্বালাভাব, কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হতে পারে।
➸নারকেল তেল পেটে মাসাজ করুন। নারকেল তেল ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোলাজেন মেরামত করে, ইলাস্টিসিটি বাড়ায়। ত্বক ময়েশ্চারাইজ, উজ্জ্বল, টাইট করে।
➸আমন্ড অয়েল খুব ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ভিটামিন ই–ও রয়েছে। পেটের ঝুলে পড়া চামড়া টাইট করে।
➸স্নানের জলে ২ চা চামচ নুন বা সি–সল্ট মিশিয়ে নিন। ত্বকের নোংরা, টক্সিন দূর হয়।
➸পুষ্টিকর খাবার খান। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়বে, ত্বক ঝুলে পড়বে না।
➸সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, বেলপেপার খান। এইসমস্ত খাবার কোলাজেন তৈরির হার বাড়ায়, পেটের ত্বক টান টান হয়।
➸বাদাম, অ্যাভোকাডো, স্যালমন (ওমেগা থ্রি রয়েছে), অলিভ অয়েলের মতো খাবার খান যাতে হেলদি ফ্যাট রয়েছে। কোলাজেন তৈরির হার বাড়ায়, ত্বকে ঔজ্বল্য আনে, ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে।
➸ধূমপান ছেড়ে দিন। এতে কোষ ও কোলাজেন তৈরির হার কমে যায়।
➸নিয়মিত যোগ, ওয়েট ট্রেনিং করুন।